আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দেশভাগের পর পাকিস্তান ছাড়েন হিন্দুরা। এখনও সেই দেশে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানে থাকা বহু হিন্দু মন্দির। তেমন রক্ষণাবেক্ষণও হয়নি। কিন্তু এবার সেসব মন্দির মেরামত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
কিছুদিন আগেই পাকিস্তানে দুই হিন্দু তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ ওঠে। ভারতীয় দূতাবাসের কাছে সেই বিষয়ে রিপোর্টও চান বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এরই মধ্যে হিন্দ মন্দির পুনর্নির্মাণের কথা জানাল পাকিস্তান সরকার।
দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের হিন্দুরা এই দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বেশ কিছু মন্দিরে মাদ্রাসাও তৈরি হয়েছে গত কয়েক বছরে। অনেক মন্দিরের জমি জবরদখল হয়েছে। IndiaToday-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এবার সেইসব মন্দির হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
সিয়ালকোট ও পেশোয়ারের দুই বিখ্যাত মন্দির দিয়ে শুরু হবে সেই কাজ। সিয়ালকোটে রয়েছে একটি জগন্নাথ মন্দির। এছাড়া ওই সিয়ালকোটেই ১০০০ বছরের পুরনো একটি শিবমন্দির পুনর্নির্মাণ করা হবে। বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনার পর ওই মন্দিরে দুষ্কৃতি হানা হয়। তারপর থেকেই হিন্দুরা আর কখনও ই মন্দিরে যাননি বলে জানা যায়। এছাড়া পাকিস্তানের আদালতের নির্দেশে পেশোয়ারে নতুন করে খোলা হচ্ছে গোরক্ষনাথ মন্দির। সেটি হেরিটেজ সাইট বলেও ঘোষণা করা হবে।
এইভাবে প্রত্যেক বছর দুটি বা তিনটি করে ঐতিহ্যবাহী হিন্দু মন্দির পুনর্নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে পাকিস্তানে হিন্দু অধিকার সংগঠনের তরফ থেকে একটি সার্ভে করে দেখা হয় যে দেশভাগের সময় পাকিস্তানের দিকে ছিল অন্তত ৪২৮টি হিন্দু মন্দির, যার মধ্যে ৪০৮টি মন্দির খেলনার দোকান, সরকারি অফিস, রেস্তোরাঁ বা স্কুলে পরিণত হয়েছে।
২০১৯-এর হিসেব বলছে, বর্তমানে পাকিস্তানের সিন্ধে ১১টি মন্দির, পঞ্জাব প্রদেশে চারটি মন্দির, বালোচিস্তানে তিনটি মন্দির ও খাইবার পাখতুনখোয়ার দুটি মন্দির রয়েছে। সম্প্রতি শিখ তীর্থস্থান দর্শনের জন্য কর্তারপুর করিডর খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ইমরান খান সরকার। এছাড়া পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সারদা পীঠ দর্শনের জন্যও করিডর খুলে দেওয়ার ভাবনা-চিন্তা করছে।
মতিহার বার্তা ডট কম ১০ এপ্রিল ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.